বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি: প্রকৃতির অপরিহার্য অংশ
![]() |
বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি |
স্তন্যপায়ী প্রাণীঃ স্তন্যপায়ী প্রাণীরা হল এমন এক শ্রেণি যারা তাদের শিশুদের দুধ খাওয়ায়। এদের মধ্যে হাতি, বাঘ, ভালুক, এবং শূকর বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই প্রাণীদের দেহ সাধারণত লোমে ঢাকা থাকে। বাঘ এবং সিংহ শিকারী প্রাণী হিসেবে পরিচিত, অন্যদিকে গরু ও ছাগল মানুষের খাদ্য এবং কৃষিকাজে সহায়ক।
সরীসৃপঃ সরীসৃপ প্রাণীরা ঠাণ্ডা রক্তের এবং সাধারণত জল ও স্থল উভয় পরিবেশে বাস করতে পারে। সাপ, কুমির এবং কচ্ছপ এই শ্রেণির মধ্যে পড়ে। এদের মধ্যে সাপ বিষধর হলেও কচ্ছপ নিরীহ এবং দীর্ঘজীবী প্রাণী।
পাখিঃ পাখিরা উড়তে সক্ষম বিশেষ প্রজাতি, যদিও কয়েকটি প্রজাতি যেমন উটপাখি এবং পেঙ্গুইন উড়তে পারে না। ময়ূর, কাক, ঘুঘু, ঈগল প্রভৃতি পাখি আমাদের চারপাশে পরিচিত। পাখিদের পালক তাদের উড়ার উপযোগী করে তোলে এবং এদের ডিম পাড়ার বৈশিষ্ট্য আছে।
জলজ প্রাণীঃ মাছ, তিমি, ডলফিন এবং অক্টোপাস জলজ প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত। মাছ মানব খাদ্যের একটি প্রধান উৎস, যেখানে ডলফিন তাদের বুদ্ধিমত্তার জন্য বিখ্যাত। অক্টোপাস তাদের আটটি বাহুর সাহায্যে শিকার ধরে।
কীটপতঙ্গঃ প্রকৃতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কীটপতঙ্গ। মৌমাছি, প্রজাপতি, পিঁপড়া, এবং গুবরে পোকা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখে। মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে এবং পরাগায়ণে সহায়তা করে, যা কৃষির জন্য অপরিহার্য।
পশু-পাখির পরিবেশগত গুরুত্বঃ পশু-পাখিরা পরিবেশে খাদ্যশৃঙ্খল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা মৃত পদার্থ ভেঙে নতুন পুষ্টি উপাদানে রূপান্তর করে এবং গাছপালার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
পশু-পাখির অবদানের মাধ্যমে প্রকৃতি সুন্দর ও প্রাণবন্ত থাকে। তাই এদের সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রকৃতির এই অনন্য উপাদানগুলো আমাদের জীবনধারার জন্য অত্যাবশ্যক।
0 Comments